শাহরিয়ার সোহাগ এর "প্রাক্তন"। পর্ব - ১
শাহরিয়ার সোহাগ এর "প্রাক্তন"। পর্ব - ১
উৎসর্গ
২০১৭ সালের অক্টোবরের ১০ তারিখ। মা ঢাকা মেডিকেলের ইএনটি ওয়ার্ডে ভর্তি, অপারেশন
হবে তারপরের দিন। মাকে অভয় দিতে হাসপাতালেই তার বার্থডে কেক কাটা হলো। অপারেশনের জন্য
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে একা সামলে উঠতে পারছিলাম না। তখন দিনের পুরোটা সময় মায়ের
পাশে থাকতো আবিদা। আর দিনে- রাতের যখন সময় পেতো তখনই হাসপাতালে আমাকে সহযোগিতার জন্য
থাকতো বিপ্লব, জয়, তুহিন, সাইফ, বিশ্ব, বারী, অমি, রিপা। কাউকে কখনোই ডাকতে হয় নি।
নিজেদের কাজ সমলে নিজে থেকেই চলে আসতো। সত্যিই, ওরা আমাকে অনেক চাপমুক্ত রেখেছিল সেই
সময়টাতে। অপারেশনের পর কেবিন পাবার আগের একটা রাত (যেদিন অপারেশন হয়েছিল) মাকে ফিমেল
ওয়ার্ডে থাকতে হয়েছিল। ফিমেল ওয়ার্ড হওয়াতে রাতে সেখানে আমার থাকা সম্ভব ছিল না। ক্রিটিকাল
সেই রাতে রিপা নিজে থেকেই বললো সে মায়ের সাথে থাকবে। বিপ্লব, জয়, তুহিন, সাইফ, বিশ্ব,
বারী, অমি যে যখন পেরেছে দৌঁড়ে ওষুধ এনে দিয়েছে, খাবার এনে দিয়েছে। মায়ের কেবিনে সবসময়
ওদের কেউ না কেউ থাকতোই। মায়ের অপারেশনের জন্য ৩ ব্যাগ ব্লাড দরকার ছিল। বন্ধু অমি,
তুহিন আর ভাগ্নে মিথুন ব্লাড দিয়ে আমাকে চিরঋণী করেছে। অমি তো কয়েক রাত আমার সাথে হাসপাতালের
মেঝেতেও ছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আবিদা যেভাবে মায়ের সেবা করেছিল, আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
No comments