Header Ads

মায়া || শাহরিয়ার সোহাগ || Maya || A story by Shahriar Sohag

 

মায়া, শাহরিয়ার সোহাগ, Maya, A story by Shahriar Sohag, bangla poem child, bangla poem site, bangla poem, rag day bangla poem,


ঘড়িতে সময়টা তখন রাত বারোটা পয়ত্রিশ। ড্রাইভ করে বাসায় ফিরছে সুহাদ। হুমায়ুন কবির সুহাদ। একটা কর্পোরেট অফিসে সিনিয়র অফিসার হিসেবে জব করছে তাও চার বছর হয়ে গেল। পড়ালেখা শেষ করেই চাকরিটা জুটে গেছে কপালে। আর চাকরি পেলেই পরিবারের চিন্তা থাকে কবে ছেলেকে বিয়ে দেবে? পরিবারকে বেশিদিন চিন্তিত না রেখে পরিবারের পছন্দতেই বিয়ের কাজটা সেরে নিয়েছে আজ থেকে তিন বছর আগে। আজ ওদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। বারোটার আগেই ফিরতে পারবে বলে ভেবেছিল। তবে এই শহরের জ্যাম কখন কোন জায়গা অচল করে দেবে সেটা বোঝা বেশ মুশকিল। গুলশানে অফিস করে মগবাজারে বাসায় যাবার পথে মধুবাগের বিশাল এক জ্যামেই বসে আছে আধা ঘন্টা। গাড়ি না থাকলে হেটেই চলে যেত সুহাদ। নাদিয়া ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছে, এই নিয়ে তিনবার হল। সুহাদও নাদিয়ার জন্য ফুল কিনেছে অনেকগুলো। আর একটা ডায়মন্ডের রিং। সবচেয়ে কাছের এই মানুষটা গত তিন বছর সুহাদের রাগ, অভিমান, আল্হাদ, বকাবকি, অফিসের ব্যস্ততা সহ্য করে আস্রচে মুখ বুজে। সেই নাদিয়ার জন্য এই গিফট নিতান্তই মূল্যহীন।কারণ সে সময় সুহাদের সুস্থতাতেইবেশি খুশি। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরা আর অফিসে আসার আগে নাদিয়ার কপালে সুহাদের চুমু যেন নাদিয়ার কাছে সবচে বড় উপহার। নাদিয়ার চাওয়াগুলোও খুব ছোট ছোট। এই তিন বছরে সুহাদের থেকে কিছু চায়নি বলার মত।
দুই বছরের মেয়ে সিঁথিকে নিয়ে বেশ কাটছে তাদের জীবনের প্রতিটা দিন। সিঁথি মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে। বাবা ডাকটা খুব মায়া ভরেই ডাকতে পারে পিচ্চি মেয়েটা। রাত বাড়ছে। তবে গাড়ির চাকা ঘুরছে না। এক পথচারীকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল সামনে একটা প্রায়ভেট এক্সিডেন্ট হয়েছে। তাই মাঝরাত এই জ্যাম।
দিনের হাতিরঝিল আর রাতের হাতিরঝিলের মাঝে অনেক পার্থক্য। যত রাত হয় হাতিরঝিল যেন সাধারণ মানুষের অচেনা হয়ে ওঠে। বখাটেদের দখলে চলে যায় এই শহুরে সৌন্দর্য্য। তাদের বেপরোয়া রাইডিং এর জন্যই এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে। এসব ধনীর দুলাররা মরছে তো মরছে। এই রাত দুপুরে এসব সাধারণ মানুষগুলোকেও কষ্ট দিচ্ছে। নাদিয়া হয়ত জ্যামের ব্যাপারটা বুঝবে। তবে আজ তাদের বিবাহবার্ষিকী। বেচারীর একটা শখ, আল্হাদ থাকতেই পারে। নিজের জন্য না। তার খারাপ লাগার পুরোটাই নাদিয়ার জন্য।

জ্যামের এই জায়াটাতে তেমন আলো নেই। পুলিশ এসেছে মাত্র। গাড়ি, ডেডবডি নেবার পর রাস্তা আবার সচল হবে। জ্যামে বসে থাকা কাজ ফেরত সব মানুষের মধ্যে ক্লান্তি ভর করেছে। সেই অন্ধকার আর ক্লান্তি ভেদ করে হঠাৎ সুহাদের গাড়ির গ্লাসে কে যেন বাইরে টোকা দিল। গ্লাস নামাতেই এক মাঝ বয়সি মেয়ে বেহায়াপনা হাসি দিল - স্যার, লাগবে না..... কথা শেষ কররতে পারলো না মেয়েটা। মেয়েটার দিকে তাকাতেই যেন সুহাদের চোখ কপালে। বোরখাতে নিজেকে আড়ার করে গাঢ় কাজল, লিপস্টিকে সেজে আসে মেয়েটাকে মাঝরাতে এই সময়, এমন অবস্থায় দেখার জন্য সুহাদ মোটেও প্রস্তুত ছিল না। গল্পটা শেষ হয়েছিল অনেক বছর আগে। তবে সেই গল্পের নায়িকাকে সুহাদ একবার দেখেই চিনে ফেলেছে। : মায়া, তুমি? এখানে কি করছো? সুহাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দ্রুত পায়ে চলে গেল মায়া নামের সেই মেয়েটা। কথা বলল না, প্রশ্নের উত্তরও দিল না। চলে যাবার সময় পেছন ফিরে সুহাদের ডাকও শুনলো না একটা বারের জন্য। কোনো কথা না বলেই নিজে থেকেই সেই ক্লান্ত অন্ধকারে হারিয়ে গেল মায়া। অথচ একসময় কতো না কথা বলতো তারা।

মায়ার সাথে সুহাদের পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। সুহাদ তখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়তো। সুহাদের বন্ধু আবিদের ফুফাতো বোন ছিল মায়া। সুহাদ আর আবিদের দারুন বন্ধুত্ব ছিল। তারা তিনজন নিয়মিত ভার্সিটির শহীদ মিনারে আড্ডা দিত। একসাথে রিক্সায় ঘুরতো, রেস্টুরেন্টে খেতে যেতো, ঘুরতে যেত। আবিদ, মায়া কাজিন হওয়াতে আর আবিদের ভালো বন্ধু সুহাদ, তাই তিনজনের রসায়নটা অল্প দিনেই জমে উঠেছিল। আবিদকে তুমি ডাকতে ডাকতে সুহাদের সাথে তুমি সম্পর্ক হয়ে যায় মায়ার। ঠোঁটকাটা স্বভাবের মেয়ে ছিল মায়া। তবে ওর মধ্যেও একটা বোকা মেয়ে বাস করত। অদ্ভুত একটা সরলতা ছিল ওর মধ্যে। লম্বা কৃষ্ঞ কালো চুল, চোখ জোড়া, হাসি আর গালের তিলটা মায়ার প্রতি সুহাদের মায়া ক্রমেই বাড়িয়ে দিচ্ছিল। আবিদ ক্যাম্পাসে কোনো কারণে না থাকলেও মায়ার সাথে নিয়মিত আড্ডা দিত সুহাদ। আবিদ এটা জানতো। তবে কিছু মনে করতো না। কারণ ক্যাম্পাসের প্রথম দিককার সময় মায়া ভীষণ একাকীত্বে ভুগতো সবসময়। মায়ার সেই একাকীত্ব আর আড্ডার মাঝে হঠাৎ যেন সুহাদ আর মায়ার সম্পর্ক প্রেমে রূপ নিয়েছিল।
মায়া চাঞ্চ পেয়েছিল নৃবিজ্ঞানে। তখন তো সে ১ম বর্ষেরর ছাত্রী। আর সুহাদ ম্যানেজমেন্টে সেকেন্ড ইয়ারে। পুরনো কলা ভবনের পাশ দিয়ে তারা হাত ধরাধরি করে হাটত, রোদে পুড়ত, বৃষ্টিতে ভিজতো। ডেইরিতে বাবলু ভাইয়ের তেজপাতার চা খেত। মায়া তখন চায়ে চিনি কম নিত। বলতো এটা তার পারিরিবারিক অভ্যাস। এখন মায়া চা খায় কি না সুহাদের জানা নেই। সেন্ট্রাল ফিল্ডের সবুজ ঘাস, ক্যাফের বাইরে ছাতার নিচে তারা বাদাম খেত, খুঁনসুটি করতো। সপ্তম ছায়ামঞ্চ থেকে যে রাস্তাটা এমএইচ এর দিকে চলর গেছে, ওই লেকের পাড়ে বিকালে বসে প্রেম করতো সুহাদ মায়া। সুইমিংপুল, মনপুরা, সিডনিফিল্ড, শান্তিনিকেতন, বটকলা, চৌরাঙ্গী, ট্রান্সপোর্ট সব জায়গাগুলোতে এখনো তাদের প্রেম মেখে আছে। বিকাল হলেই ক্যাম্পাসে রিক্সায় ঘুরত। মায়া রিক্সায় ঘুরতে আনন্দ পেত। মায়া প্রথম রান্না শিখেছিল সুহাদের জন্য। বিশমাইল বাজার থেকে থেকে সুহাদ একটা ইলিশ মাছ এনে মায়া কে দিয়ে বলেছিল তার সরিষা ইলিশ বেশ পছন্দের। মায়া ইউটিউব দেখে হলেও সরিষা ইলশ রান্নাটা শিখে সুহাদ এর জন্য গরম গরম নিয়ে আসে। প্রথম রান্না বলে খুব স্বাদ না হলেও রান্নাতে প্রেম আর ইচ্ছেশক্তিটা ছিল ভরপুর। সুহাদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আরো বেশ কয়েকদিন মায়া রান্না করে এনেছিল।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ এ শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন বই "মানুষ"। পাওয়া যাচ্ছে অনার্য, ৪৯৮-৫০১ নং স্টলে। অনলাইনে অর্ডার করতে কল করুন 01745676929 নাম্বারে
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ এ শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন বই "মানুষ"। পাওয়া যাচ্ছে অনার্য, ৪৯৮-৫০১ নং স্টলে। অনলাইনে অর্ডার করতে কল করুন 01745676929 নাম্বারে

মায়ার এক জন্মদিনের ঘটনা হঠাৎ মনে পড়লো ড্রায়ভিং সিটে বসে থাকা সুহাদের। রাস্তায় কখনো জ্যাম। ২৫ অক্টোবর। সেবার সুহাদ মায়াকে জন্মদিনের উইস করতে ভুলে গিয়েছিল। আগের রাতে বন্ধুদের সাথে নেশাপানি করে বিশাল এক ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিল নিজের অনিচ্ছায়। রাত বারোটার পর প্রেমিকাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গিয়েছিল সুহাদ। আর তাই প্রেমিকা মায়া গাল ফুলিয়ে কথা না বলে বসে ছিল শান্তি নিকেতনে। সুহাদের এতবার ক্ষমা প্রার্থনা কিছুতেই মন গলাতে পারছিল না মায়ার।।মায়া যেন আরো বেশি রেগে যাচ্ছিল। মায়া সুহাদ কে রাগের মাথায় চলে যেতে বলেছিল।।মায়া নাকি একটু একা থাকতে চায়। কথা না বাড়িয়ে সুহাদ উঠে চলে যেতেই মায়া পেছন থেকে দৌঁড়ে এসে ওখানে এত্তগুলো মানুষেরর মধ্যে সুহাদ কে ইচ্ছে মত কিল চড় দিল। তারপর সবার সামনে সুহাদকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চা মেয়েদের মত হুহু করে কেঁদে দিল। কেঁদে সুহাদের বুকের শার্ট ভিজিয়ে ফেলেছিল। সেদিন সুহাদ মায়ার বার্থডে কেক কেটেছিল শান্তিনিকেতনে। আর রাতে উইশ না করার শাস্তি হিসেবে পুরোটা সন্ধ্যা মায়াকে নিয়ে পুরোটা ক্যাম্পাস রিক্সায় ঘুরেছিল। ওদের প্রেমের কথা তখন আবিদ জানতো। আবিদ নিজের মত ব্যস্ত হয়ে পড়ে পড়াশোনা নিয়ে। ওদের প্রেমেমে আবিদের আপত্তি ছিল না কখনো। কারণ সে দুজনইকেই ভালোবাসতো।

তারও বেশ কিছুদিন পরের ঘটনা। হঠাৎ মায়ার বাবা মায়াকে বাড়িতে যেতে বলেছিলেন। মায়া ভেবেছিল তার দাদী অসিস্থ, সেজজন্য হয়ত। সেদিন পুরোটা বিকেল, সন্ধ্যা মায়া সুহাদের হাত ধরে ছিল। রাতে একসাথে বটতলায় খাওয়াদাওয়া শেষ করে মায়াকে বাসে তুলে দিয়েছিল সুহাদ।
এবং সেটাই মায়ার সাথে সুহাদের শেষ দেখা ছিল। বাড়িদে যাবার পর মায়া জানতে পারে বিয়ের জন্য তােক কোনো কিছি না জানিয়ে বাড়িতে আনা হয়েছে।
তখনো মায়ার সাথে ফোনে কথা হত। মায়া সুহাদেরর কাছে খুব কান্না করছিল বিয়ের আগের ওই কয়েকটা দিন। যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল, পাত্র স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। বয়সেও বেশ বড়।হবে মায়ার থেকে। এলাকার পাতি নেতা। মায়ার বাবাও স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। সুহাদ বিয়ে আটকানোর জন্য মায়ার গ্রামের বাড়িতে যেতে চেয়েছিল। তবে মায়া তাকে গ্রামের বাড়িতে নেয়নি, কারণ মাঢা কখনোই চায়নি মায়ার জন্য সুহাদের কোনো রকম ক্ষতি হোক।
মায়া পাগলের মত ভালোবাসতো সুহাদ কে। সুহাদও তখন মায়ার জন্য পাগল প্রায়। সুহাদ আবিদের কাছ থেকে মায়ার খবর নিত। মায়ার এই বিয়ে আবিদও মেনে নিতে পারিনি। আবিদের থেকেই সুহাদদ জেনেছিল মায়ার স্বামী একটা মার্ডার কেসে আসামী। বিয়ের কয়েকমাস পর সে জেলে যায়। মেয়ের জীবনের জন্য নিজেজের এই ভুল সিদ্ধান্ত আর কষ্ট মেনে নিতে না পেরে মায়ার বাবা তার কিছুদিন পর স্ট্রোক করে মারা যান। মায়া খুব চাপা সম্ভাবের ছিল, কাউকে কিছু বলতো না। নিজের মনে জমিয়ে রাখতো তার কষ্টগুলো। ক্যাম্পাসেও নিজের ক্লাসমেটদের সাথে তেমন মিশতো না মায়া।।আবিদ আর সুহাদের সাতথেই ঘুরে বেড়াতো। আর প্রেমের পর তো মায়ার সেই সাময়িক সময়টার পুরোটায় হয়ে গিয়েছিল সুহাদ কেন্দ্রিক।
মায়ার শশুরবাড়ির লোকদের সাথে মায়ার বনিবনা হত না প্রথম থেকে। শশুরবাড়ির মানসিকতার সাথে মায়া যে মানসিকতায় বড় হয়েছে তা সম্পূর্ন বিপরীত। আবিদ মায়ার বাড়িতে গেলে মায়া তাকে খুলে বলে যে সে তার স্বামী, শশুরবাড়ির মানুষদের সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না। মায়া তখনো নাকি সুহাদকে ভালোবাসতো। তবে সে তখন আর সুহাদের হতে চায় না। মায়া আবিদকে কথা দিতে বলে কথাগুলো যেন সে সুহাদকে না বলে। তবে আবিদ তার কথা রাখতে পারেনি।
আবিদ হঠাৎ দেশের বাইরে চলে যায় স্কলারশীপ নিয়ে।
সুহাদও কোনো রকমকম পড়াশোনাটা ধরে রাখে। অল্প স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলো খুব পীড়া দেয় সুহাদ কে। মায়ার সাথথে প্রেমের আগে এই ক্যাম্পাসে সুহাদের দুই বছরের স্মৃতির কিছুই মনে নেই, যতটা না এই এক বছরের প্রেমের স্মৃতি আছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটা গাছ, রাস্তা যেন সুহাদ মায়ার প্রেমের কথা জানতো।

সুহাদের সাথে আবিদের কোন যোগাযোগ নেই এখন। সুহাদ মায়ার কোন খোঁজ নিতে পারে নি আবিদ বাইরে যাবারর পর থেকে। সুহাদ ধাক্কা সামলে নিজের মতত করে নিজেকে গড়ে নিতেতে শুরু করেছিল।

বাস্তবতার সাথে তাল মেলাতে পরিবারের ইচ্ছায় পরিবারের পছন্দে সুহাদ নাদিয়া কে বিয়ে করে।
নাদিয়া বেশ ভালো মনের একটা মেয়ে। নাদিয়ার পুরোটা জুড়ে কেবলই সুহাদ। সুহাদও চায় তার পুরোটা জুড়ে নাদিয়া আর সিঁথিকে রাখতে। বেশ তো সুখেই আছে তারা। বিশ্বাস আর ভালোবাসার কোনো ঘাটতি নেই তাদের সুখের সংসারে। এই আজকে যেমন নাদিয়া এখনো রাত জেগে বসে আছে সুহাদের জন্য। সুহাদ বাসায় ফিরলে একসাথে খাবে বলে বেচারী মেয়েটা এই মাঝরাত পর্যন্ত না খেয়ে আছে। আজ তাদের বিবাহবার্ষিকী, তাই সুহাদের পছন্দের সরিষা ইলিশ রান্না করেছে নাদিয়া। নাদিয়ার হাতের সরিষা ইলিশ! সেটা তার অন্য কোনোনো রান্নার সাথে তুলনা করাটাও বোকামি।

জ্যামে আটকে থাকা গাড়িগুলো চলা শুরু করলো। রাস্তা থেকে ফুটপাতে উঠে বোরখা পরা কয়েকটা মেয়ে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে তাদের খদ্দেরের জন্য। এই জায়গাতে প্রতিরাতে ভ্রাম্রমান পতিতাদের অবাধ চলাচল থাকে। মায়া?? মায়া এখন তবে..?
গাড়ির চাকার গতি বাড়তে থাকলো। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করলো জ্যামের রাস্তা। সুহাদ বাসায় ফিরছে। বাসায় নাদিয়া মেয়েটা অপেক্ষা করছে সুহাদের জন্য।



মায়া  || শাহরিয়ার সোহাগ || Maya || A story by Shahriar Sohag  

ভালো লাগলে শেয়ার করুন 

 

No comments

Powered by Blogger.