যুগ এগিয়েছে, সময় বদলেছে। এটা কেন মানতে চান না?
ঘটনা ১.
আমি যখন পত্রিকা পড়ি।
জৈনিক ব্যক্তি: পত্রিকা পড়া ভালো অভ্যাস। এতে জ্ঞান বাড়ে। পৃথিবী সম্পর্কে আপডেট তথ্য পাওয়া যায়।
সেই পত্রিকাটা যদি আমি অনলাইনে পড়ি।
জৈনিক একই ব্যক্তি: সারাদিন মোবাইলে এত কি? কিচ্ছু হবে না তোমাকে দিয়ে। সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি। ছেলে বখে গেছে।
ঘটনা ২.
আমি যখন কোন গল্পের বই পড়ি।
জৈনিক ব্যক্তি: বই পড়া ভালো গুণ। যারা বই পড়ে তারা বিপথে যায় না। যারা বই পড়ে তারা তো সমাজের বিবেক।
সেই বইটা ই যদি আমি অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইলে পড়ি।
জৈনিক একই ব্যক্তি: সারাদিন মোবাইলে এত কি? কিচ্ছু হবে না তোমাকে দিয়ে। সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি। ছেলে বখে গেছে।
ঘটনা ৩.
আমি যখন খাতা কলমে লেখালেখি করি।
জৈনিক ব্যক্তি: তোমার তো দেখছি দারুন প্রতিভা। এখনকার ছেলেমেয়েরা তো কম্পিউটার, গেমস নিয়ে পড়ে থাকে। আর তুমি লিখছো। এটা একটা গড গিফটেড প্রতিভা। চালিয়ে যাও। তোমাদের মত মানুষগুলো একদিন আইকন হবে।
আমি যখন সেই একই লেখা মোবাইলের নোটবুকে টাইপ করি।
জৈনিক একই ব্যক্তি: সারাদিন মোবাইলে এত কি? কিচ্ছু হবে না তোমাকে দিয়ে। সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি। ছেলে বখে গেছে।
বিষয়টা নিয়ে কি বলবো বুঝতেছি না। বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষগুলোকে নির্বোধ বলে বেয়াদব হতে চাই না। তারা কথায় কথায় দুনিয়াতে আমার আগে এসে বেশি অভিজ্ঞতার অজুহাত দেয়।
আমাদের চেয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা বেশি এটা তো আমরা স্বীকার করি।
তাহলে আপনারা কেন স্বীকার করতে চান না যে আপনাদের থেকে আমরা কিছুটা হলেও আপডেট।
পত্রিকা পড়ার জন্য হকারের দিকে পথ চেয়ে থাকার সময় আমাদের নেই। কিংবা মোটা মোটা গল্পের বই কাঁধে নিয়ে ঘোরারও শখ নেই। কিংবা মগজে কোন লেখার উৎস আসলে খাতা কলম খুজে অতঃপর লেখার মত ঢের সময় আমাদের নেই।
যুগ এগিয়েছে, সময় বদলেছে। এটা কেন মানতে চান না? শাহরিয়ার সোহাগ
মিরপুর ১ | সকাল ৯.৩০ | ২৮-৬-১৭
No comments