কেমন আছো রাঁধা ?
কেমন আছো রাঁধা
কেমন আছো রাঁধা? তোমাকে চিঠি লিখবো না লিখবো না ভেবে অবশেষে লিখতে বসলামম। কি করবো বলো, ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেলো। আমারই বা দোষ কিসে বলো। সরকারি বাজেটের বাঁধগুলো তো এক বছরও টেকে না। আমার বাঁধ তো সেই তুলনায় অনেকদিন টেকসই ছিল। তবে দিনশেষে মানুষ বলে দাবি করি তো নিজেকে। অদৃশ্য বাঁধা, আর বাঁধ ভেঙে তাই আজ আমার এই আয়োজন তোমার জন্য। কি ভাবছো? আমি এতদিন পর হঠাৎ কোথা থেকে এলাম? সম্পর্কটা বর্তমান হলে আমি নিজেকে ফিনিক্স পাখি দাবি করতাম। তবে সম্পূক যখন অতীত, তখন নিজেকে ডুমুরের ফুল বলাটাই শ্রেয়। এবার তোমায় প্রশ্নের উত্তর দিই। চলমান মহামারীর এই বন্দি জীবনে টিভি দেখে আর সিগারেটে চুমু গুনে সময় পার করছি। এ বন্দি সময়ে যতগুলো সিগারেট টেনেছি, সে টাকা সরকারি কোষাগারে দিলে কিছু মানুষ অন্তত খেয়ে বাঁচতে পারতো। তবে তার আগে তো এই অখাদ্য খেয়ে নিজজের বেঁচে থাকাটা জরুরী। আর আমার টাকাটা শেষমেষ জনগনের কাজে আসবে এমন গ্যারান্টি দাবি করা আর বোকার রাজ্যে বাস করা একই কথা, তাই না? যেন আম ছালা দুটোই বেহাত হবার উপক্রম। একটা অন্তত থাকুক, কি বলো? হাতের সিগারেটটা শেষ করে টিভির সামনে বসেছিলাম তাবৎ দেশের খবর নেবো বলে। তবে কি আশ্চর্য, সব ছেড়ে এখন তোমার খবর নিতে আমার এই লিখতে বসা। রিমোট চাপতে চাপতে টিভি স্ক্রিনে হঠাৎ তোমায় দেখলাম।
আজ হঠাৎ টিভিতে তোমাকে দেখলাম। টিভিতে তোমায় দেখে ফোনটা হাতে নিয়ে
তোমায় কল করবো বলে ভেবেওছিলাম, আগে যেমন তোমাকে ফোন করে জানাতাম - আমি তোমাকে
দেখছি। তবে ঠিক কল করবার আগে মনে পড়লো তোমার পাশে তোমার স্বামী থাকতে পারে। তোমাকে
কল দেওয়াটা কি ঠিক হবে?
শাহরিয়ার সোহাগ
No comments