পবিত্র ধর্ষিতা || শাহরিয়ার সোহাগ
যে তোমার যোনীপথ রক্তাক্ত করেছে,
সেও কোনো এক যোনীপথ দিয়ে-
এ পৃথিবীর আলো দেখেছে।
যে তোমার দুস্তনে পশুর হাতের ছাপ দিয়েছে,
মুখ দিয়ে করতে চেয়েছে অপবিত্র।
সেও কোনো এক পবিত্র স্তনের দুধ খেয়ে-
আজ মানুষ থেকে পশু হয়েছে।
সে ফিরে যাক তার মায়ের কোলে।
সে তোমার গায়ে আঁচড় দিয়েছে তোমার অসম্মতিতে,
তার কোলে জন্ম নিক ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান।
তবে সে যেন কোনো পশুর ছোঁয়া না পায়,
সেই দোয়া করি।
বৃহৎ জীবনে তুমি এই ক্ষুদ্র সময়-
হয়ত কখনোই ভুলতে পারবে না।
তারপরও চাই-
তোমার স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাক এই সময়।
যে তোমাকে ভোগ করেছে তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে,
তার প্রেমিকা বা বউ হয়ত তারই অপেক্ষায়,
যৌনতায় মিলবে তাই।
সে হয়ত ফিরে যাবে প্রিয়তমার বুকে।
প্রেমিককে স্পর্শ করা নরম হাত দিয়ে-
তুমি হয়ত শত চেষ্টায় বাঁচাতে পারোনি নিজেকে।
স্বাভাবিক। পশুর সাথে মানুষের জেতার কথা না।
তোমার চোখে পাহাড়ের সবুজ চঞ্চলতা ভেদ করে-
এই চোখ আজ পাহাড়ী ঝর্ণা।
মেয়ে, তোমার তো দোষ নেই।
তুমি কাঁদবে কেন?
এটাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে-
তোমাকে তা ভুলে যেতে বলবো না।
তোমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে তুমি হয়ত জানতে না-
এই শহরে মানুষের চেয়ে পশু বেশি।
পুরুষকে মানুষ আর-
মেয়েকে 'মেয়ে মানুষ' বলার সময় ফুরিয়ে গেছে।
কদিন বাদেই সব বদলে যাবে।
তখন মেয়েকে 'মানুষ' আর-
পুরুষকে পশু বলেই সম্মোধন করবে।
অতীতে তোমার হাস্যজ্জল ঠোঁটে-
এখনকার চাপা কান্না হয়ত সুশীলরা বুঝবে না।
তবুও ওমুখে প্রতিবাদ আসুক,
ধিক্কার আসুক আমাদের প্রতি।
এই শহরে রাত নামুক, রাত পেরিয়ে সকাল হোক।
এই শহরের প্রানী গুলো পশু থেকে মানুষ হোক।
শাহরিয়ার সোহাগ এর কাব্যগ্রন্থ আমার শহরে তোমার গল্প
শাহরিয়ার
সোহাগ এর কাব্যগ্রন্থ আবিদা
No comments