Header Ads

ছোট বাচ্চাদের সাথে কি রকম আচরণ করা উচিত - শাহরিয়ার সোহাগ

ছোট বাচ্চাদের সাথে কি রকম আচরণ করা উচিত

আজ আমি আপনাদের বলবো বাসায় ছোট বাচ্চাদের সাথে কি রকম আচরণ করা উচিত কিংবা কি রকম আচরণ করবেন সবার বাড়িতেই কম বেশি ছোট বাচ্চা থাকে তাই এই ছোট ছোট ব্যাপারটা সবাই জেনে রাখা ভালো

 

* প্রতিটা শিশু তার বাবা মায়ের চোখের মনি শিশুরা হলো সর্বকালের মানব জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ তাই শিশুর জীবনকে সুন্দর এবং নিরাপদ ভাবে গড়ে তোলার জন্য শিশুর আশপাশে যে মানুষগুলো থাকে তাদের বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে প্রতিটি শিশুই আল্লার দেওয়া নিয়মে বিকশিত হবে তবে তার জগতের চারপাশে যারা থাকেন তাদের আন্তরিক এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ শিশুর সার্বিক বিকাশে সুস্থ সুন্দর এবং মার্জিত করে একটা শিশুর পিতা মাতা তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং পরামর্শদাতা একমাত্র তারাই পারেন তাদের শিশুকে সাবলীলভাবে গড়ে তুলতে একটা শিশু শিশুর জন্ম থেকে অন্তত পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর জন্য চাই বিশেষ ধরনের পরিচর্যা গর্ভাবস্থায় শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ মায়ের জন্য তার অসুস্থ বিকলাঙ্গ, স্বল্প স্মৃতি সম্পন্ন, এমনকি মৃত শিশু জন্ম নিতে পারে তাই গর্ভাবস্থা থেকেই একজন মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে তার অনাগত বাচ্চার জন্য আর সেজন্য অবশ্যই শিশুর বাবার সহযোগিতা প্রয়োজন

 

জন্মের পরেই একটা শিশু যদি তার চাপাশে অশান্তি, ঝগড়া, মারামারি বিচ্ছেদ দেখে বড় হয় তাহলে তার মানসিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্থ হয় তাই আমাদের উচিৎ হবে শিশুর চারদিকের পরিবেশ সুন্দর, সুস্থ, হাসিখুশি, সুশৃঙ্খল রাখা শিশুদের ভাষা বিকাশের সময় অর্থাৎ জন্ম থেকে অন্তত ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর বাবা মায়ের মধ্যে যদি অশান্তি, ঝগড়া, মারামারির সম্পর্ক থাকে তার প্রভাবে সিশুর ভেতরে তোতলামোর স্বভাব দেখা দেয়

 

শিশুর বাড়ির পরিবেশকে অবশ্যই শিশুর উপযোগী ভাকে সাজাতে হবে দামী আসসবাবপত্র, দামী ডেকরেশন না রাখায় ভালো কারণ হলো শিশু নষ্ট করে ফেলতে পারে, ভেঙে ফেলতে পারে এমন চিন্তা থেকে তার গতিবিধ বাঁধাগ্রস্থ করা হয় এতে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয় তাই এমন জিনিস রাখতে হবে যা ভেঙে ফেললে তেমন ক্ষতি হবে না সেজন্য শিশুদের জন্য সস্তা খেলনা কেনা ই ভালো, যেন সে স্বাধীন ভাবে খেলতে পারে অনেকে শিশুদের জন্য দামী খেলনা কিনে ঘরে সাজিয়ে রাখে নষ্ট হয়ে যাববার ভয়ে শিসুদেরকে সেহুলো নিয়ে ভেলতে দেয় না তাহলে সেসব খেলনা কেনারই বা দরকার কি? চাবিযুক্ত গাড়ি, উড়তে পারা প্লেন, কথা বলতে পারা পুতুল শিশুর কল্পনা শক্তিকে বাঁধাগ্রস্থ করে সহজ আর সাধারণ কেলনা শিশুর কল্পনা শব্কিকে সক্তিশালী করে টাকার অভাবে কেলনা কিনকে না পারা পরিবারের সিশুরা বাড়ির বাদ দেওয়া বোতল, কাগজ, প্যাকেট, ছবি এতে তাদের কল্পনাশক্তি বাড়ে তবে শিশু যেটা দিয়েই খেলুক, খেয়াল রাখতে হবে যে শিশু যেন সেসব খেলনা মুখে না দেয়

 

শিশুরা যখন প্রথম কথা বলতে শেখে তখন তাদের মধ্যে  বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে তাদের প্রশ্ন গুলো হয় কে কি কেন কখন, কোথায় কেমন তাদের কথায় রাগ রা করে তাদের প্রশ্নগুলোর সুন্দর ভাবে উত্তর দেওয়া উচিৎ

 

শিশু কোনো অন্যায়, বাজে কথা বললে সেটাতে তার সামনে গুরুত্ব দেওয়া, নিষেধ করা ঠিক না এতে শিশু মনোযোগ পাবার জন্য সেগুলোই বারবার করবে সেই খারাপ কাজ করা, খারাপ কথা বলা, না খাওয়া, কথা না শোনা, মারামারি করা ইত্যাদি শিশুর ভালো কাজকে কার সামনেই প্রশংসা করুন এসে প্রশংসা, মনোযোগ পাবার জন্য শিশু সেই ভালো কাজগুলোই বারবার করবেভালো কাজের প্রতি আকর্ষন বাড়বে

 

শিশুদেরকে এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিৎ যেগুলো সম্ভব অসম্ভব কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা না করলে সেই ব্যক্তির প্রতি শিশুর অবিশ্বাস জন্মায়

 

শিশুর মেধা বিকাশের জন্য আরেকটা কাজ করা যেতে পারে যেমন বাড়িতে মেহমান আসলে, কোনো অনুষ্ঠান হলে, কোনো প্রোগ্রাম হলে কিকি রান্না করা যেতে পারে, কিভাবে ঘর সাজানো যেতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি এতে শিশু যেমন সিদ্ধান্ত ই দিক না কেন তার মানসিক বিকাশ বাড়বে

No comments

Powered by Blogger.