হলুদ বাতির হাসি || শাহরিয়ার সোহাগ
কয়েক বছর আগেও এই শহরের ল্যাম্পপোস্ট গুলো তে রাতের বেলা হলুদ বাতি জ্বলতো। এখন তো সব সাদা লাইট। তবে এক সময় এই শহরের ল্যাম্পপোস্ট গুলো তে হলুদ বাতি জ্বলতো। আমার 'হলুদ বাতির হাসি' উপন্যাসটা সেই সময়কার গল্প। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাসি আর অর্ণ। অর্ণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে আর হাসি হলুদ বাতির ল্যাম্পপোস্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ভ্রাম্যমান পতিতা। সদ্য যৌবনে পা দেওয়া একটা মেয়ে এই নিষিদ্ধ পথে কেন আসলো সেই গল্প কেউ হয়তো জানার চেষ্টা করে না। এই উপন্যাসে আমি দেখিয়েছি একটা মেয়ে কিভাবে এই পথে এসেছে এবং এই পথে সে এখন কেমন আছে। কর্ণ হাসির ব্যাপারে কৌতুহলী, জানতে চায় তাকে নিয়ে। তবে হাসির আশেপাশে অর্ণর উপস্থিতি হাসিকে বিব্রত করে।
কারণ গভীর
রাতে তার শিকারি চোখ খোঁজে খদ্দের। তা না হলে এই শহরে তার পরের দিন থাকা খাওয়া
কিংবা বেঁচে থাকাটাই যে অনিশ্চিত। এই সমাজের মানুষ বিশেষ করে পুরুষ মানুষ এর প্রতি
হাসির ঘৃণা আর ক্ষোভের শেষ নেই। তবুও মুখ খোলে না সে। কারণ বাঁচতে তো হবে। যাদের
প্রতি তার ঘৃণা ক্ষোভ সেই মানুষগুলোর খন্ডকালীন সঙ্গিনী হয়ে জীবিকা নির্বাহ হয়
তার। অর্ণ হাসি কে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চায়। তবে হাসি জানে অর্ণর এসব
ইচ্ছা আবেগী, অবাস্তব। তাই সে এড়িয়ে চলতে চায় অর্ণকে। কখনো
পারে, কখনো পারে না। এক রাতে হাসি অর্ণকে কিছু একটা
বলতে ডেকেছিল, অর্ণ এসেছিল। তবে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছিল??
আপনারা চাইলে খুব সহজেই
আমার হলুদ বাতির হাসি উপন্যাসটি সংগ্রহ করতে পারবেন। পেজের ইনবক্সে কিংবা কমেন্টে
আপনার নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারটা জানিয়ে দিলেই হবে। পেজের পক্ষ থেকে
যোগাযোগ করা হবে আপনার সাথে। সবাই ভাল থাকবেন। সুন্দর থাকবেন। সবাই বইয়ের সাথে
থাকবেন। কারণ আপনার আগামীর সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে বই হতে পারে আপনার সবচেয়ে
ভালো বন্ধু।
বইটি কিনতে পরেন শাহরিয়ার সোহাগ এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে।
No comments