Header Ads

চুড়িহাট্টা মোড় (churihatta-mour) শাহরিয়ার সোহাগ

চুড়িহাট্টা মোড় (churihatta-mour) শাহরিয়ার সোহাগ  এর সমকালীন উপন্যাস



চুড়িহাট্টা মোড় (churihatta-mour) শাহরিয়ার সোহাগ


ব্যস্ত চুড়িহাট্টা মোড়,

হায়দার মেডিকো, বা তার পাশের সবচে ব্যস্ত হোটেল।

ব্যস্ত গলির জানালাগুলোতে-

অনেক অনেক প্রেমের গল্প ছিল নিশ্চয়।

কিংবা গলির মোড়ের রাজনৈতিক গল্পগুলো..

এক ব্যস্ত জনপদ। এক আশাতীত নিস্তব্ধতা। 

সেখানে কেউ পত্রিকা কেনেনি আজ।

তবে সেখানকার খবর জানতে-

পত্রিকা বিক্রি হয়েছে অনেক।

ফাগুনের রঙে রঙিন হয়নি এই চুড়িহাট্টা।

হয়েছে কালো ধোঁয়ায় রুগ্ন। পুড়ে গেছে কত না স্বপ্ন।

চুড়িহাট্টা মোড়টাও তাই আজ বড্ড বিষন্ন।

এই মোড়ের দৈনন্দিন চাহিদার কেউ নিচ্ছে না খোঁজ।

সব যেন হঠাৎই নিখোঁজ।

চুড়িহাট্টা মোড় (churihatta-mour) শাহরিয়ার সোহাগ


দুই ধর্মের দুটো মানুষের প্রেম নিয়ে শুরু হয় চুড়িহাট্টা মোড়। সঙ্গীতের শিক্ষার্থী ঈন্দ্রাণী আর ইমরান শখের কবি। পরিচয়ের পর গল্প, আড্ডা, নিজেদের জানাশোনা শেষ পর্যন্ত প্রেমে রূপান্তরিত হয় এবং সব শেষে বিয়ে। দুজন দুজনকে ভালোবেসে ওদের বিবাহিত জীবনটাও বেশ সুন্দর কাটছিল। আন্তঃসত্ত্বা ঈন্দ্রাণীর যত্ন নিতে কোনো ত্রুটি নেই ইমরানের। কাজ থেকে ফেরার সময় ঈন্দ্রানীর কথামত সবকিছু নিয়ে হাজির হয় ইমরান। ঈন্দ্রাণীর জন্মদিনের আগের রাতে ইমরান তার প্রিয়তমা সহধর্মিণী ঈন্দ্রাণীর জন্য উপহার, ফুল, কেক সব নিয়ে যখন বাসায় উঠবে, ঠিক তখনই চুড়িহাট্টা মোড়ে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিদূর্ঘটনা হয়।

চুড়িহাট্টা মোড় (churihatta-mour) শাহরিয়ার সোহাগ



ঈন্দ্রাণী যেন জীবনানন্দ দাশের কবিতার সেই বধূ।  
‘শোনা গেল লাশকাটা ঘরে, নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আঁধারে, যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ, মরিবার হল তার সাধ। বধু শূয়েছিল পাশে, শিশুটিও ছিল; পেম ছিল, আশা ছিল,  জোছনায়,  তবু সে দেখিল
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেংগে গেল তার? অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল – লাশ কাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার।
চুড়িহাট্টা মোড় (churihatta-mour) শাহরিয়ার সোহাগ


২০১৯ সালে পুরাণ ঢাকার চুড়িহাট্টা মোড়ের ভয়াবহ অগ্নিদূর্ঘটনা স্মরণে শাহরিয়ার সোহাগ এর উপন্যাস "চুড়িহাট্টা মোড়"।
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা



No comments

Powered by Blogger.